৳ ১৭৫ ৳ ১৪৯
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
বর্তমানে সারা বিশ্বে একটাই শ্লোগান। তা হল প্রকৃতির কাছে ফিরে আসুন। এ কথা সত্যি যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগে মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে এসেছে। বিশ্বের সর্বত্রই এখন ভেষজ খাদ্য, পথ্য ও ওষুধ এবং ভেষজের মাধ্যমে চিকিৎসা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এর কারণ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভেষজ ওষুধ সেবন করে রোগব্যাধির প্রকোপ হতে আরোগ্য লাভ করতে চায়।
এক সময় এদেশে ও ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন আমলে ভেষজ চিকিৎসা ব্যবস্থাই রোগ নিরাময়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল। পরবর্তীতে এ দেশ ইংরেজরা দখল করে। তারা ভেষজ চিকিৎসার উপর আঘাত হানে এবং চালু করে এলোপ্যাথিক ওষুধ ও চিকিৎসা, যা আজো টিকে আছে। বর্তমানে আবার ভেষজ ওষুধ ও চিকিৎসার প্রতি মানুষের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ক্রমশ ভেষজ চিকিৎসা আপামর জনগণের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। এ জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশে বর্তমানে এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত। পাশাপাশি হারবাল খাদ্য ও পথ্যভিত্তিক চিকিৎসা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে হারবাল চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল।
এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো দেশীয় গাছগাছড়া ও ভেষজ চিকিৎসার প্রতি বেশি আগ্রহী। এ জন্য সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রোগব্যাধির চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজ ও হাকিমদের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এ কারণে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এ বইয়ে মানবদেহের বিভিন্ন জটিল ও সাধারণ রোগব্যাধি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। অতি সহজ ভাষায় বিভিন্ন রোগের বর্ণনা করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ পাঠক বইটি পড়ে অতি সহজেই রোগের উৎপত্তি, কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে এবং বিভিন্ন পরিচিত ভেষজের মাধ্যমে সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিজেরাই করতে পারবে। বইটি পাঠক সমাজে সমাদৃত হোক এটাই প্রত্যাশা। পরিশেষে বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রান্ত প্রকাশনের স্বত্তাধিকারী মো: আমিনুর রহমানকে অশেষ ধন্যবাদ।
Title | : | দীর্ঘায়ু লাভের উপায় |
Author | : | ডা. আলমগীর মতি |
Publisher | : | প্রান্ত প্রকাশন |
ISBN | : | 9789849190196 |
Edition | : | 1st Published, 2017 |
Number of Pages | : | 111 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ডাঃ আলমগীর মতি ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন কলুকাঠি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম মৌলভী গোলাম মোস্তফা এবং মাতার নাম রহিমা খাতুন। ডাঃ আলমগীর মতি’র শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি হয় তাঁর নিজ গ্রামে অবস্থিত কলুকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অভাবনীয় মেধার অধিকারী এবং কঠোর অধ্যবসায়ী। অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ডিগ্রী এবং ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড অব অলটারনেটিভ মেডিসিন থেকে “এম.ডি” ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে চায়না থেকে “নিউরো” ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল তিনি সোসাইটি অফ কম্পিমেন্টারি মেডিসিন এন্ড ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অফ ফিলোসোফী (ডি.ফিল) ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে হারবাল বিষয়ের উপর “এম ফিল” করেন। তিনি ১৯৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশের ১৮টি হোমিও কলেজ ছাত্র সংসদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি একজন অন্যতম পুরোধা। ডাঃ আলমগীর মতি শুধু একজন চিকিৎসক ও গবেষকই নন, তিনি একজন সফল লেখকও বটে। পেশাগত জীবনে এসে তাঁর চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে রচনা করেন চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর বেশ কয়েকটি অমূল্য গ্রন্থ। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিশ্বনবী (সাঃ) এর চিকিৎসা বিধান, নিরোগ থাকার উপায়, সুস্থ থাকার সোনালী উপায়, হারবাল পদ্ধতিতে শতায়ু লাভের উপায় অন্যতম। তিনি তার কর্মদক্ষতা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এ্যাওয়ার্ড-২০০৬, দি ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন প্রোডাক্টস এন্ড সার্ভিস-২০০৭, দি ডায়মন্ড আই এ্যাওয়ার্ড ফর কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এন্ড এক্সিলেন্স-২০০৭ সহ ১৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা পুরষ্কার এবং অসংখ্য জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হন। এই নশ্বর পৃথিবীতে তাঁর মতো মানুষ বার বার ফিরে আসুক এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
If you found any incorrect information please report us